বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০

আগে ছিল আশীর্বাদ (!), এখন অভিশাপ

৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে যখন ইস্যুটা শুরু হয় তখন মোটামুটি দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান। পরে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার যখন একই ইস্যু নিয়ে দেশের পরিস্থিতি বেসামাল তখনকার সরকার প্রধান কিন্তু বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। বরং ধর্মীয় আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে সমস্যার স্থায়ী রূপ দেন। স্থানীয় শিক্ষিত বেকার, জনপ্রতিনিধি এবং আমলারা ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যাঁর-যাঁর আখের গুছিয়েছেন। কেউ-কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।

এখন কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষ পরিবেশ বাঁচাও-পরিবেশ বাঁচাও বলে যে চিৎকার দিচ্ছেন তখন কেন তাঁরা দূরদৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করেননি? এসব ভণ্ড পরিবেশবাদী, জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীদের তখনকার আরাধ্য ছিল একটাই; তা হল, ওইসব অনুপ্রবেশকারীদের দেখভালের জন্য যে-সমস্ত আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বাংলাদেশে আসন গেড়েছে সেগুলোয় চাকরি পাওয়া, নয় তো ঠিকাদারি জোগাড় করা। ওইসব অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত পাড়ি জমিয়েছে আমাদের দেশপ্রেমিক (!) জনপ্রতিনিধি আর আমলাদের কল্যাণে। এখন প্রবাসে তাদের অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বাংলাদেশের।

এবার বুকে হাত দিয়ে ভেবে দেখুন তো আমরা কতোটুকু দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং বিচক্ষণ?

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০

এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনি মতিউর রহমান প্রসঙ্গ এলে প্রথম আলোও আপনা-আপনি চলে আসে। তিনি যেভাবে ভোরের কাগজ থেকে দলবলসহ বেরিয়ে এসে প্রথম আলো জন্ম দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে একে শীর্ষস্থানে নিয়ে এসেছেন তাতে করে আমার বিবেচনায় মতিউর রহমানকে প্রথম আলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর থেকে প্রথম আলো যেভাবে সোচ্চার (যেমন: ফলো-আপ রিপোর্ট, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় এবং মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে) হয়েছে অন্য কোনো পত্রিকা কি সে রকম সোচ্চার হয়েছে?

সেই সফল সম্পাদক মতিউর রহমান সম্পর্কে কিনা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন! মতিউর রহমানের দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন কে বা কারা? অভিযোগটা কি আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের পক্ষ থেকে, না কি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে?