মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০১০

ইনানীর রহস্যময় 'কানা রাজার গুহা'


ক্সবাজারের 'কানা রাজার গুহা' দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে পারে। জনশ্রুতি আছে যে, গুহাটি প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। তবে গুহাটির নেই কোনো সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ। অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা গুহার মুখ ও আশপাশের পাথরগুলো উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পাহাড় ভেঙে গুহার মুখ অনেকখানি ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে ঐতিহাসিক এ গুহাটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গুহাটির মুখ প্রায় একশো বর্গফুট এবং গুহার দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। এ গুহা কীভাবে এবং কেনই-বা তৈরি করা হয়েছিল সে সব কাহিনী অজানাই রয়ে গেছে। ইনানী সমুদ্র সৈকত দর্শনে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা হাতে সময় থাকলে রহস্যঘেরা এ গুহাটিও এক নজর দেখে যান।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালং। এই ইউনিয়নের ইনানী থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের কূলঘেষা পাটুয়ার টেকের সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে 'কানা রাজার গুহা'র অবস্থান। কক্সবাজারের লাবণী সী-বীচ থেকে এর দূরত্ব পঁচিশ কিলোমিটার। গুহাটির একেবারে কাছে যাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই। অনেক কষ্ট করে গুহাটির কাছে গেলে শোনা যায় বানর আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ। এ সময় গা শিউরে ওঠে।
জেলে ও স্থানীয়দের মুখ থেকে 'কানা রাজার গুহা' নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কানা রাজার আসল পরিচয় কী তা উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও এলাকায় জনশ্রুতি আছে যে, তিনি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক শাসক। কিংবদন্তি আছে, প্রায় তিনশো বছর পূর্বে কানা রাজা তাঁর দলবলসহ আরাকান (বর্তমান মিয়ানমার) থেকে পালিয়ে এসে পাটুয়ার টেকের পাহাড়ে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি একটি গুহা খনন করান। পরবর্তীতে এটি 'কানা রাজার গুহা' নামে পরিচিতি লাভ করে।
তিনশো বছর পূর্বে এখানকার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সমুদ্র পথ। সেই সময় বঙ্গোপসাগরে দেশি-বিদেশি মালবাহী জাহাজ ও বিভিন্ন জলযান চলাচল করত। এ সব জলযান থেকে কর আদায় করতেন কানা রাজা। অনেকে তাঁকে সমীহ করে দিয়ে যেত মূল্যবান সামগ্রী। এ সব মালামাল গুহায় এনে রাখা হত। তাই অনেকের ধারণা, এ গুহায় এখনও অনেক মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে।
প্রায় একশো বছর পূর্বে স্থানীয় চাক সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ে জুম চাষ করার সময় এ গুহার সন্ধান পায়। পরবর্তীতে রহস্যঘেরা এ গুহা এক নজর দেখার জন্য আসতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতে, 'কানা রাজার গুহা'টি সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ গুহা।

মাদার বোর্ডের ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত জটিলতা, অতঃপর সময় ক্ষেপণের গল্প

গত বছর জুনের শেষ দিকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে আমার ক্লোন পিসিটা কেনা হয়েছিল কক্সবাজার শহরের বিলকিস শপিং কমপ্লেক্সস্থ দুই দোকান থেকে। সিপিইউটা এক দোকান থেকে এবং মনিটর আর মডেমটা অন্য দোকান থেকে। ডেস্কটপটির বিভিন্ন অংশের ওয়ারেন্টি ছিল এ রকম : প্রসেসর, মাদার বোর্ড ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভের তিন বছর করে আর মনিটর, ডিভিডি রাইটার ও র‍্যামের এক বছর করে।
কেনার পর থেকে পিসিটা ঠিকমতো চলছিল। কিন্তু গত মার্চের মাঝামাঝি হঠাৎ বিগড়ে গেল পিসিটা। আমি সংশ্লিষ্ট দোকানের টেকনিশিয়ান (আমার প্রাক্তন ছাত্রীর ছোট ভাই)-কে দেখালাম। সব দেখে সে জানাল মূল সমস্যা মাদার বোর্ডের। তারা মাদার বোর্ডটি খুলে নিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিল গত ২৪ মার্চ এবং আমাকে জানাল সর্বোচ্চ পনেরো দিনের মধ্যে আমি মেরামত করা একই মাদার বোর্ড কিংবা বিকল্প নতুন মাদার বোর্ড পেয়ে যাব। কিন্তু দেড় মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আমি আমার পুরনো কিংবা নতুন মাদার বোর্ড কোনোটাই ফেরত পাইনি। এই দেড় মাস আমার লেখালেখি পুরোপুরি বন্ধই ছিল। এমন-কী 'রক্তের মলাটে একুশ' ই-বুক সংকলনের লেখাগুলোও যথাযথ সম্পাদনা করে পাঠাতে পারিনি।
মাদার বোর্ডটি ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে বারবার ধরনা দেওয়ার পর তারা আমাকে জানাল যে, ওই মাদার বোর্ডটি যে ডিলারের কাছ থেকে তারা কিনেছে সেই ডিলার সংশ্লিষ্ট ইম্পোর্টার ('কম্পিউটার সোর্স')-এর পাওনা পরিশোধ না করায় ইম্পোর্টার ওয়ারেন্টির শর্ত পালন করছে না। ফলে আমি পড়ে গেলাম গ্যাঁড়াকলে। স্থানীয় 'নিটা কম্পিউটার অ্যান্ড টেকনোলজি' থেকে পিসিটা কিনলে ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত এমন জটিলতায় পড়তে হত না। কারণ, 'নিটা কম্পিউটার অ্যান্ড টেকনোলজি' ইম্পোর্টার 'কম্পিউটার সোর্স'-এর কক্সবাজারস্থ একমাত্র ডিলার (এটা কিন্তু তখন আমার জানা ছিল না)। আর যাদের কাছ থেকে আমি পিসিটা কিনেছিলাম তারা হল স্রেফ বিক্রেতা।
শেষ পর্যন্ত ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে নগদ ৪ হাজার ৫৫০ টাকা দিয়ে ইন্টেলের ৪১ আরকিউ মাদার বোর্ডটি কিনলাম গত ১০ মে। সেটা দিয়েই এখন কাজ চালাচ্ছি। আচ্ছা, সংশ্লিষ্ট বিক্রতার কাছ থেকে আমি সেলস রিটার্ন অর্থাৎ ওয়ারেন্টির তিন বছর থেকে ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত সময় বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সময়ের টাকা (তখন ইন্টেলের ওই ৩১ পিআর মাদার বোর্ডটির দাম ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৫০ টাকা) ফেরত পাওয়ার দাবি করতে পারি কি না?

ইভটিজিঙের শিকার আরও এক ছাত্রী আত্মহননের পথ বেছে নিল

দেশে এখন অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ইভটিজিং। এটি এখন অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যাও। তাই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন এবং একে প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার পরও ইভটিজিং কিংবা এর শিকার মেয়েদের আত্মহনন বন্ধ হচ্ছে না। তাই অবক্ষয়ে নিমজ্জিত এই সমাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে শায়লা আক্তার তুলি (১৪)-কেও অভিমান নিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হল। আর তথাকথিত সভ্য সমাজের কাছে রেখে গেল চরম ঘৃণা।
বিস্তারিত এখানে
সভ্য সমাজ, সামাজিক জীব ইত্যাদি তকমাগুলো এখন ঠুনকোয় পরিণত হয়েছে। আমরা নিজেদেরকে সভ্য সমাজের একজন বা প্রকৃত অর্থে সামাজিক জীব কিংবা সৃষ্টির সেরা যদি দাবিই করি, তা হলে সামাজিক এসব অনাচারে আমরা বিচলিত হই না কেন কিংবা ঘরে-বাইরে এর বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিই না কেন?

একটি সংবাদ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

ক্সবাজার থেকে প্রকাশিত একটি প্রিন্ট মিডিয়ায় গত ২২ মে সংবাদটি প্রথম ছাপা হয়। এর পর কক্সবাজার থেকে পরিচালিত একমাত্র ওয়েব পত্রিকায় সেদিনই সংবাদটি হুবহু প্রকাশ করা হয় ওই প্রিন্ট মিডিয়ার সূত্রে। সংবাদটির সার কথা হল এই, কক্সবাজার শহরের বিশেষ-বিশেষ মহল্লায় বসবাসরত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কতিপয় ছাত্রী (বোরকা পরা) হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেহব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা গেস্ট হাউজ খ্যাত আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তথাকথিত সার্ভিস দিয়ে থাকে।
বিস্তারিত সংবাদ এখানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্রী (যাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলায়) আলোচ্য সংবাদটির অত্যন্ত তির্যক ও তীক্ষ্ণ ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যা সংশ্লিষ্ট ওয়েব পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত হয়। তাঁর মতে, উপযুক্ত তথ্য ও নির্ভরশীল সূত্রবিহীন ওই সংবাদটির কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সাধারণ ছাত্রীরা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে ওই প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ওয়েব পত্রিকারটির পরিচালকের জীবিকা অর্থাৎ মূল পেশার (শিক্ষকতা) ব্যাপারে প্রশ্ন রেখেছেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া এখানে
এখন আমারও মনে হচ্ছে, ওই প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পরিচালকের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কন্যাসন্তান কিংবা নিকট-আত্মীয়া থাকলে সংবাদটি প্রকাশের আগে এর নেতিবাচক প্রভাব বা প্রতিক্রিয়ার কথা দ্বিতীয়বার ভাবতেন। তবে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা হিসাবে কক্সবাজার শহরে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ যে একদম হচ্ছে না, তাও-বা বলি কী করে?
প্রতিক্রিয়ার জবাবে ওই প্রিন্ট মিডিয়ার জবাবটি পড়ুন এখানে