রবিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০০৯

পিসি ট্রাবলশ্যুটিং

কেসিং খোলার পদ্ধতি

যারা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখেন না তাদের জন্য এই পর্বটি। এখানে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলোর সাথে এবং জানাব কিভাবে কেসিং খুলতে হয় তা।
* সাধারণত কেসিং-এর পেছনে এটি খোলার ২+২=৪টি স্ক্রু থাকে। কেসিং খোলার আগের পাওয়ার সাপ্লাই অফ করুন। মাদারবোর্ডের পেছন থেকে সব প্লাগ খুলে ফেলুন।
* সাধারণত সামনে থেকে কেসিংটাকে দেখলে এর বামপাশের অংশটি খুলতে হয়। এর পেছনে স্ক্রু দুটি খুলতে ভালো চারকোণা স্ক্রু ড্রাইভার লাগবে আপনার। খোলা স্ক্রু সযত্নে রাখুন।
* স্ক্রু খোলা হয়ে গেলে কেসিং-এর পাশ থেকে কভারটি আলাদা করে নিন। সাধারণত কভারটি পেছনদিকে কিছুটা স্লাইড করে খুলতে হয়।
Motherboard পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ১:কেসিং খোলার হাতেখড়ি | Techtunes
* কেসিং খুলেছেন ? ভেতরে তাকান। মূল যে বড় সার্কিট বোর্ডটি দেখছেন তাই মাদারবোর্ড। আর পাওয়ার সাপ্লাই থাকে কেসিং এর উপরে পেছন দিকে। পাওয়ার সাপ্লাই থেকে অনেকগুলো লাল, হলুদ, কালো বা নীল তার বের হয়ে আসে। এর কিছু সংযুক্ত মাদারবোর্ডে কিছু বা সরাসরি অন্য হার্ডওয়্যারে যেমন- সিডি ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক।
* মাদারবোর্ডে প্রসেসর কোনটি তা বুঝতে এর কুলিং ফ্যান খুঁজে বের করুন। সাধারণত এটি মাদারবোর্ডের উপরে কিছুটা বামে থাকে। প্রসেসর ফ্যানের জন্য সরাসরি দেখা সম্ভব নয়।
* র‌্যাম সাধারণ প্রসেসরের ডানপাশে থাকে। মডেলভেদে ২-৪টি স্লট, লম্বাকৃতির।
* সাউন্ডকার্ড কোনটি বুঝতে হলে খুঁজে বের করুন স্পিকারের ইনপুট জ্যাক কোথায় লাগে সেই ডিভাইসটি।
* একইভাবে মনিটরের ক্যাবল দিয়ে জানতে পারবেন কোনটি আপনার গ্রাফিক্স কার্ড।
* একই উপায়ে মডেম (টেলিফোনের তার), ল্যান কার্ড (ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার) খুঁজে বের করতে পারবেন আপনি।
* চিকন চিকন লাল, হলুদ, কাল বা নীল তারগুলো পাওয়ার ক্যাবল। সাদা বা লাল চওড়া ক্যাবলগুলো ডাটা ক্যাবল।
* সাধারণ একটি পিসিতে কেসিং-এর পেছনে পাওয়ার কর্ড, মনিটর কর্ড, মাউস ও কী-বোর্ড, স্পিকার ইনপুট এগুলো প্রাথমিক অনুসঙ্গ যা সব পিসিতেই আছে।
* বিভিন্ন ক্যাবল আলাদা রকমের হওয়াতে সবচেয়ে বড় সুবিধা এক ধরনের কানেকশন আপনি ভুল করে চাইলেও অন্যটিতে লাগাতে পারবেন না।
78 পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ১:কেসিং খোলার হাতেখড়ি | Techtunes

কম্পিউটার ঠিকমতো চালু না হলে
এটিকে একটি পরিচিত সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করতে চাই। নিয়মিত কম্পিউটার চালু হয় না এমনটা বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এই সমস্যার একটাই সমাধান। তা হচ্ছে বিক্রেতার শরণাপন্ন হয়ে অযথা পয়সা খরচ। দেখি তো আপনাকে বাঁচাতে পারি কিনা। নিচের কথাগুলো শুনুন মনোযোগ দিয়ে।
** পাওয়ার সুইচ অন করার পর সিস্টেমের ইন্টারনাল স্পিকার কয়টা আওয়াজ করলো খেয়াল করুন। যদি বীপ সংখ্যা এক হয় তার মানে কম্পিউটার ডিসপ্লে আউটপুট পাচ্ছে না।অথবা কীবোর্ড মাদারবোর্ডের সাথে ঠিক্মতো সংযুক্ত না হলেও এমনটা হতে পারে।
যদি একটি বড় বীপের পর দুটি ছোটো বীপ হয় তারমানে র‌্যাম পাচ্ছে না আপনার মাদারবোর্ড।র‌্যাম পরিবর্তন না স্লট পরিবর্তন করে দেখুন।
যদি একটি বড় বীপের পর তিনটি ছোট বীপ হয় তাহলে বুঝবেন নিশ্চিতভাবেই ডিসপ্লে বা গ্রাফিক্স আউটপুটের সমস্যা।
আর যদি একটা বড় বীপ তারপর চারটা ছোট বীপ হয় তারমানে আপনার মাদারবোর্ড বা গুরুত্বপূর্ণ কোন হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করছে না। তবে এর জন্য আপনার পিসিতে ইন্টারনাল স্পীকার কিন্তু থাকতে হবে। অনেক মাদারবোর্ডে ইন্টারনাল স্পীকার বিল্ট-ইন থাকে।অন্যগুলাতে আলাদা লাগাবে হয়।সাধারনত কম্পিউটার কেনার সময় বিক্রেতাই এটি দিয়ে দেয় তবে অনেকসময় ভুলে তা ঠিকমতো লাগানো নাও থাকতে পারে।সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডের বক্সে দেখুন স্পীকার পান কিনা।নইলে সময় করে বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে আসুন।বুঝতেই পারছেন কেন আমি এটাকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি।
** মনিটরের দিকে তাকান। এটি কি স্লীপ মোডে আছে ? অর্থাৎ এর লেড লাইট কি জ্বলছে নিভছে কিনা খেয়াল করুন। যদি তা না হয় অর্থাৎ লেড লাইট জ্বলেই থাকে এবং মনিটরে কিছু না কিছু দেখা যায় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনার মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ঠিক আছে।সমস্যাটা ছোটোখাটো।নো টেনশন!
** যদি পাওয়ার অন করাই সম্ভব না হয় তাহলে কেসিং খুলে দেখুন নিঃসন্দেহে আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা। খোঁজার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কোথায়।
** এবারে ধরুন মাদারবোর্ডের পাওয়ার লেড জ্বলছে কিন্তু কেসিংয়ের পাওয়ার বাটন চাপলেও পিসি রেসপন্স করছে না তখন বুঝতে হবে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে কোনো সমস্যা হবার কারণে এটি পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে অন্য পাওয়ার সাপ্লাই লাগিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।
** এবারেও কাজ হয়নি ? হতে পারে আপনার পাওয়ার সুইচেই সমস্যা। অভিজ্ঞ কাজ জানা ব্যবহারকারীরা সম্ভব হলে মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে মাদারবোর্ডের পাওয়ার বাটন পিন দুইটি বের করে তা কোনোভাবে কন্টাক্ট করে দেখতে পারেন কাজ হয় কিনা। তবে অনভিজ্ঞরা এই কাজটি না করতে যাওয়াটাই ভালো।
** পাওয়ার সংক্রান্ত সমস্যার আশাকরি সমাধান হলো। এবারও কম্পিউটার চালু হচ্ছে না ? তাহলে বুঝতে হবে র‌্যামের সমস্যা। র‌্যামের স্লট পরিবর্তন করে নতুবা অন্য র‌্যাম লাগিয়ে দেখুন।
** কম্পিউটার বুট হলো ঠিকঠাক কিন্তু উইন্ডোজ লোডিং-এর আগেই আটকে গেছে ? তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কের সমস্যা। হার্ডডিস্কের পাওয়ার ও ডাটা ক্যাবলের কানেকশন চেক করুন। সম্ভব হবে মাদারবোর্ডের যে কানেক্টরে ক্যাবলটি লাগানো তা পরিবর্তন করে দেখুন। এছাড়া এমনটি কি হচ্ছে কম্পিউটার ঠিকমতো চালু হচ্ছে হয়তো অপারেটিং সিস্টেমও লোড হচ্ছে তারপর ধুড়ুম করে পিসি বন্ধ হয়ে রিস্টার্ট করছে। এটি সম্ভবত প্রসেসরের কুলিং ফ্যান বা হিটসিংক ও প্রসেসরের কানেকশনের দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। চেক করে দেখুন ফ্যান ঠিকমতো ঘুরছে কি-না বা ফ্যানসহ সবকিছু ঠিকমতো টাইট আছে কিনা। পারলে কুলিং ফ্যানসহ হিটসিংক খুলে আবারও লাগান।
আর ধুড়ুম করে বন্ধ না হলে মানে একটু সময় নিয়ে সংকেত দিয়ে বন্ধ হওয়া মানে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার আপনি।
#ধুড়ুম বলতে আমি এটা বুঝাচ্ছি যে কম্পিউটার চলার সময় পাওয়ার চলে গেলে যেভাবে বন্ধ হয় সেরকম ঘটনা।
** এছাড়াও কোনো না কোনো ক্যাবল লুজ/ নষ্ট হয়ে যাবার কারণেও কম্পিউটার চালু হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন।
প্রধান এই সমস্যাগুলোর কারণেই কম্পিউটার চালু হয় না। তবে বুঝতেই পারছেন এই অংশে শুধুমাত্র হার্ডওয়্যারজনিত সমস্যার কথাই বললাম, অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু এখনও চালুই হতে দেইনি!

হার্ডঅয়্যার ট্রাবলশ্যুটিং
কম্পিউটারের ট্রাবলশুটিংয়ের প্রসঙ্গ আসলেই চলে আসবে হার্ডওয়্যারজনিত বিভিন্ন সমস্যার কথা। এত এত হার্ডওয়্যার পিসির ভেতর কোন না কোনোটিতে সমস্যা হওয়াটি নিত্যনৈমত্তিক একটা ঘটনা। তাই এর ব্যবহারকারী সবারই হার্ডওয়্যারগত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার সাধারণ কিছু উপায় জানা উচিত। আসুন ধাপে ধাপে জেনে নিই এমন কিছু সমস্যা ও তার সমাধান।

মনিটর
** যদি মনিটরে কোনো ডিসপ্লে না আসে এবং এর লেড লাইট জ্বলে নিভে তখন বুঝতে হবে ভিডিও কার্ডে কোনো সমস্যা বা মনিটরের ক্যাবল কানেকশন লুজ হয়ে গেছে। কানেকশন চেক করুন।
** যদি মনিটর ও পিসির পাওয়ার সুইচ অন করার পর তিনটি শর্ট বীপ শুনতে পান তাহলে বুঝতে হবে গ্রাফিক্স কার্ডে সমস্যা। আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে অন্য পিসিতে লাগিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন এটি ঠিক আছে কিনা। আর যদি বিল্টইন গ্রাফিক্স হয় তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড এজিপি স্লটে লাগিয়ে টেস্ট করতে পারেন।ইন্টিগ্রেটেড এজিপির সমস্যা সমাধানে বায়োস সেটিংস রিসেট করে দেখতে পারেন।
** যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা এটি কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মনিটর ও গ্রাফিক্স কার্ডের রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। যদি উইন্ডোজ লোড হওয়াকালীন এই সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন মনিটরের রিফ্রেশ রেট ভুলভাবে সেটিংস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিস্টেম বুট হবার পর যখন Starting Windows মেসেজটি দেখবেন তখনই কী-বোর্ডের এফ৮ চেপে সেফ মোডে উইন্ডোজ চালু করুন। এর গ্রাফিক্স/ডিসপ্লে প্রোপার্টিজে গিয়ে রিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।
** যদি মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন দেখা যায় এবং চালু করতে গেলে মনিটর কাঁপতে থাকে বা চালুই হয় না তখন বুঝতে হবে একহয় আপনার ডাইরেক্ট এক্স পুরাতন অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের লেটেস্ট ড্রাইভার নেই। তাই সবসময় লেটেস্ট ডাইরেক্ট এক্স ব্যবহার করবেন ও গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপডেটেড রাখবেন। এরপর সমস্যা থাকলে বুঝতে হবে আপনার ভিডিও কার্ড ও উইন্ডোজের মধ্যে কম্পাটিবিলিটিতে সমস্যা আছে। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ কাউকে দেখান অথবা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।

সিডি/ডিভিডি রম
** যদি ড্রাইভে সিডি/ডিভিডি ঢুকালে তা  দেখা না যায় অথবা সেটি রান না করে তখন বুঝতে হবে সিডি/ডিভিডিতে স্ক্র্যাচ পড়েছে অথবা আপনার ড্রাইভের হেডে ধুলা জমে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় পারলে সিডি ড্রাইভ খুলে সেটির হেড থেকে ধুলা পরিষ্কার করুন অথবা সিডি ক্লিনার কিনে তা প্রবেশ করিয়ে ড্রাইভের হেড ক্লিন করুন।
** সিডি যদি ড্রাইভের Eject বাটন চাপার পরও বের না হয় তখন বুঝতে হবে সিডিটি এখনও রান করছে। তাই অপেক্ষা করুন। তবে নিয়মিত এই সমস্যাটি হলে বুঝতে হবে সিডি ড্রাইভের মেকানিজমে সমস্যা। বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।
**  যদি মাই কম্পিউটারেই সিডি ড্রাইভ খুঁজে পাওয়া না যায় তখন দেখুন এর পেছনের ডাটা ক্যাবল ও পাওয়ার ক্যাবল লুজ হয়ে গিয়েছে কিনা। তারপরও কাজ না হলে বায়োসে ঢুকে দেখতে পারেন আসলেই মাদারবোর্ড ড্রাইভটিকে ডিটেক্ট করতে পারছে কি-না। এখানে বুট ডিভাইস লিস্টে ড্রাইভটি দেখা গেলে বুঝা যাবে যে উইন্ডোজের সমস্যা। সেক্ষেত্রে ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে ড্রাইভের ড্রাইভারটি আনইন্সটল করুন। ড্রাইভের ডাটা ক্যাবল খুলে আবার লাগান। উইন্ডোজ এবার নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করবে।
**  অনেকেই হয়তো জানেন না ময়লা সিডি ক্লিন করতে ইচ্ছে করলে আপনি সেটিকে হালকা সাবানা পানি দিয়ে ধুলে পরিষ্কর করে ভালোমতো শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করতে পারেন।  তবে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না।

র‌্যাম
র‌্যামের ট্রাবলশুটিং বলতে বুঝায় যদি কখনও বিনা কারণেই পিসি হ্যাং করে বা রিস্টার্ট হয় তখন খেয়াল করবেন র‌্যাম স্লটে ঠিকমতো বসানো আছে কিনা। এরপর যদি একাধিক র‌্যাম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে খেয়াল করুন সবগুলোই একই বাসস্পিডবিশিষ্ট কিনা। সিস্টেম স্ট্যাবিলিটির জন্য একই বাসস্পিডবিশিষ্ট র‌্যাম ব্যবহার করা খুবই জরুরি।

সাউন্ড
সাউন্ড নিঃসন্দেহে কম্পিউটারের অপরিহার্য একটি অংশ। কিন্তু একে নিয়ে বিড়ম্বনাও কম না। বন্ধুদেরকে নিয়ে আসলেন মুভি দেখাবেন বলে। কিন্তু পিসি অন করে মুভি প্লে করে দেখলেন ভিডিও আসছে কিন্তু সাউন্ড উধাও। অনেকেই মাঝেমধ্যে এরকম বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতিতে পড়ে থাকেন। হঠাৎ হঠাৎ তো সাউন্ডের আইকনটাকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। আসুন দেখে নিই কি করবেন তখন।
**  প্রথমেই যথারীতি দেখতে হবে সাউন্ড কার্ড ও স্পিকারের সব কানেকশন ঠিক আছে কিনা। মনে রাখবেন সাউন্ড কার্ডের মাঝের সবুজ পোর্টে স্পিকারের ইনপুট জ্যাকে ঢুকাতে হয়।
** সব ঠিক আছে ? তাহলে এবার দেখুন তো উইন্ডোজের নোটিফিকেশনগুলোর (ডিসপ্লের নিচে ডানকোণায় ঘড়ির পাশে) মধ্যে সাউন্ডের আইকনটি খুঁজে পাওয়া যায় কি। নেই ? নাকি লাল ক্রস? তাহলে বুঝতে হবে সাউন্ডের ড্রাইভার ইন্সটল করতে হবে। ড্রাইভার  ইন্সটল করে পিসি রিস্টার্ট দিন। ড্রাইভার না থাকলে উইন্ডোজ আপডেটের সহায়তা নিন।
** আইকন ঠিক আছে ? তাহলে দেখুন Mute অন করা কিনা। সাউন্ডের প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে সাউন্ডের লেভেল চেক করুন।
** সব ঠিক ? ড্রাইভারও আছে ? তাহলে আগের ড্রাইভারটি আনইন্সটল করে আবার নতুন করে ড্রাইভার ইন্সটল করুন।
** আরেকটি ব্যাপার হতে পারে। সাউন্ড কার্ডের ড্রাইভার অন্য কোনো ড্রাইভারের সাথে কনফ্লিক্ট করতে পারে। এটি দেখার জন্য ডিভাইস ম্যানেজারে যান।
** সাউন্ড, ভিডিও এন্ড গেম কন্ট্রোলারস এক্সপান্ড করুন। যদি সাউন্ড কার্ডের পাশে হলুদ রংয়ের ‘!’ চিহ্ন দেখেন তাহলে বুঝতে হবে অন্য কোনো ডিভাইস সাউন্ড কার্ডের সাথে কনফ্লিক্ট করছে।
** এর সমাধান করতে ডিভাইস ম্যানেজার ট্যাব হতে প্রোপার্টিজ>রিসোর্সে যান। কনফ্লিক্টিং ডিভাইস লিস্ট হতে দায়ী ডিভাইসটি খুঁজে বের করুন। অটোমেটিক সেটিংস চেকবক্সে ক্লিক করে পিসি রিস্টার্ট করুন।
** এতেও কাজ হয়নি ? উপরের কাজটি আবার করে অটোমেটিক সেটিংস চেকবক্সটি ডিজেবল করে চেঞ্জ সেটিংস-এ ক্লিক করুন। অতঃপর বিভিন্ন সেটিংস-এর মাঝে দেখুন কখন কোন ডিভাইস কনফ্লিক করে, কখন করে না। কাজ শেষ হলে Ok করে পিসি আবার রিস্টার্ট দিন।
** স্পীকার যেই সাউন্ড কার্ডে লাগানো সেটাই ডিফল্ট সাউন্ড ডিভাইস হিসেবে চিহ্নিত করা আছে কিনা দেখুন।কেননা বর্তমানে এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ডেও সাউন্ড কার্ড থাকে।

মাউস
সাধারণত রোলার বলবিশিষ্ট মাউসগুলোর ভেতর ময়লা ও ধুলাবালি জমে প্রায়ই সমস্যা তৈরি করে। এজন্য উচিত নিয়মিত মাউস পরিষ্কার করা। প্রথমে মাউসটি হাতে নিয়ে উল্টো করে নিচের অংশ গোলাকৃতি চাকতিটি হাতের আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে বামদিকে ঘুরিয়ে ফেলুন। ভেতরের রোলার বলটি বের করুন। এবার মাউস হোলের ভেতরে তাকান। সেখানে বেশ কিছু রোলার দেখতে পাবেন। ময়লা-ধুলাবালি সেখানেই জমে। চিমটা বা হাতের নখ দিয়ে ময়লাগুলো আলগা করে মাউস উল্টে বাইরে ফেলে দিন। এবার মাউসের বলটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। সব কাজ শেষ হলে বলটি ভেতরে রেখে চাকতিটি নিয়ে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে বন্ধ করুন।
প্রাচীন কালের টিপস হয়ে গেল বলে দুঃখিত।কি করব বলুন।অপটিক্যাল মাউস নিয়ে বলার কিছু নেই।কেননা বেসিক ইলেকট্রনিক সার্কিট,সোল্ডারিং,মাল্টিমিটার এর সাথে যাদের পরিচয় নেই তারা আসলে নতুন মাউস কেনা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।আর যারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন তাদের কোন সমস্যা হলে আশা করি নিজেরাই পারবেন বুঝেশুনে কাজ করতে।নইলে আমি তো আছিই!

কী-বোর্ড
কী-বোর্ডে যে সমস্যাটি বেশি ঝামেলা ফেলে তা হচ্ছে কী-বোর্ডের যে বাটনে যেটি আসার কথা তা না এসে অন্যটি আসা। এ সমস্যার সমাধান করা জানা থাকলে খুবই সহজ। আসুন জেনে নেই-
** কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Regional and Language অপশনে যান।
** Keyboard and Language ট্যাব থেকে Change Keyboard-এ ক্লিক করুন।
** সেখান থেকে United States International সিলেক্ট করে Apply,Ok করুন।
** এছাড়াও ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে দেখে আসতে পারেন কী-বোর্ড ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। সব ঠিক থাকার পরও যদি সমস্যা থেকে যায় তাহলে বুঝতে হবে কী-বোর্ড পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে আপনি।

মডেম
প্রায় সময়ই দেখা যায় মডেমটি কাজ করছে না। এটি দিয়ে ইন্টারনেট কানেক্ট হতে পারছেন না আপনি অথবা পিসি মডেমই খুঁজে পাচ্ছে না। এই সমস্যা যেমন হার্ডওয়্যারজনিত হতে পারে তেমনি কমিউনিকেশন সফটওয়্যার বা সেটিংসজনিত কারণেও হতে পারে। নিচে এই জাতীয় বেশ কিছু ট্রাবলশুটিংয়ের কথা বলছি।
** যদি উইন্ডোজ মডেমই ডিটেক্ট করতে না পারে তখন মডেমটি খুলে অন্য স্লটে লাগিয়ে দেখুন।
** মডেম ওকে কিন্তু নেট কাজ করছে না ? তখন ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে দেখুন মডেমটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। প্রয়োজনবোধে ড্রাইভার রিইন্সটল করে দেখতে পারেন।
** কাজ হচ্ছে না ? ফোন লাইন চেক করুন। মডেম ঠিক মোডে আছে কিনা দেখুন। যদি আপনি ট্রান্সমিশন রিসিভ করতে চান তাহলে মডেম অ্যানসার মোডে আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ডায়াল মোডে থাকা লাগবে।
** যদি মডেম ডায়াল করতে পারে কিন্তু কানেক্ট হয় না তখন দেখুন আপনার ডায়ালিং নাম্বার ঠিক আছে কিনা।
** যদি না ডায়ালটোন হয় তাহলে লাইন চেক করুন। ফোনের বাসায় অন্য এক্সটেনশন লাইন থাকলে সেটি পরীক্ষা করুন।
* কমিউনিকেশন সফটওয়্যার ঠিক আছে কিনা তা দেখুন। কন্ট্রোল প্যানেলে মডেম প্রোপার্টিজে wait for dial tone before dialing অপশনটি অফ করে দিলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
** COM পোর্ট সেটিংস ঠিক আছে কি-না দেখুন। মডেম প্রোপার্টিজ থেকে এটি দেখতে পারবেন। প্রয়োজনে COM Port পরিবর্তন করুন।

হার্ড ডিস্ক
অনেক সময় কম্পিউটার চালু হবার সময় হার্ডডিস্ক এরর দেখায়। এর কারণ হতে পারে-
** মাদারবোর্ড হার্ডডিস্ক পাচ্ছে না। প্রথমেই নিশ্চিত হোন হার্ডডিস্কের পাওয়ার ক্যাবল ঠিক আছে কি-না। তারপর হার্ডডিস্ক থেকে মাদারবোর্ডের ডাটা ক্যাবল চেক করুন।
** হার্ডডিস্কের পেছনের পিন ঠিক আছে কিনা দেখুন।
** হয়তোবা বায়োসের সেটিংসের কারণেও সমস্যা হতে পারে। বায়োসে গিয়ে দেখতে পারেন হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে কিনা।

উইন্ডোজ আপডেটিং বিড়ম্বনা
উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতায় এবং সেভেনে অটোমেটিক আপডেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এর মাধ্যমে উইন্ডোজ নিজে থেকে ইন্টারনেট থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম, এ্যাপ্লিকেশন ও হার্ডওয়্যারের জন্য প্রয়োজনীয় আপডেট ডাউনলোড করে থাকে। পাশাপাশি সিকিউরিটি সিস্টেমও আপডেট হয় এভাবে। তবে অনেক সময় আপডেট আপনার পিসির স্ট্যাবিলিটি নষ্ট করে দিতে পারে। কিভাবে বুঝবেন ? যেমন আপডেট করে পিসি রিস্টার্ট করার পর এরর মেসেজ, পিসি স্লো হয়ে যাওয়া, হ্যাং করা ইত্যাদি। তখন প্রয়োজন পড়বে সাম্প্রতিক আপডেটটি ডিলিট করে ফেলার। এবার আসুন দেখে নিই আপডেট কিভাবে আনইন্সটল করবেন। সব ওএস-এ নিয়ম প্রায় একই। আমি ভিসতার পদ্ধতি অনুসরণ করছি।
** কন্ট্রোল প্যানেল থেকে প্রোগ্রামস এন্ড ফিচারস এ যান।
** বাম পাশের টাস্কস মেনু থেকে ভিউ ইন্সটলড আপডেটস-এ ক্লিক করন।
53 পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ৪: আপডেটিং বিড়ম্বনা | Techtunes
** এখানে যে সমস্ত আপডেট ডাউনলোড করেছেন তার লিস্ট থেকে প্রয়োজনীয় আপডেটটি সিলেক্ট করে রিমুভ করুন। কোন আপডেট কবে ইন্সটল করেছেন তা দেখে সহজেই লেটেস্ট আপডেট কোনটি তা বুঝতে পারবেন।
** অথবা কন্ট্রোল প্যানেল>উইন্ডোজ আপডেট-এ গিয়ে ভিউ আপডেট হিস্টরিতে যান। সেখান থেকে ইন্সটলড আপডেট-এ ক্লিক করেও কাজটি করতে পারে।

হার্ডঅয়্যার আপডেটিং বিড়ম্বনা
উইন্ডোজের আপডেটিং-এর মাধ্যমে অকেজো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ডাউনলোড করে তা যেমন সচল করা যায় তেমনি উল্টোটাও হতে পারে। আপডেট করার পর দেখলেন যে ডিভাইসটি আর কাজ করছে না। কি করবেন তখন ? বলছি শুনুন।
** কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ> ডিভাইস ম্যানেজারে যান। এক্সপিতে মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক তারপর প্রোপার্টিজ>হার্ডওয়্যার> ডিভাইস ম্যানেজার।
** যে ডিভাইসটি সমস্যা করছে সেটিকে এক্সপান্ড করে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ>ড্রাইভারে যান। ভাগ্য ভালো থাকলে ‘রোল ব্যাক ড্রাইভার’ অপশন দেখলে তা সিলেক্ট করলে কাজ হয়ে যাবে। ভাগ্যের কথা বলছি কেননা সব সময় এই অপশনটি পাবেন না।
54 পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ৪: আপডেটিং বিড়ম্বনা | Techtunes
** এতে কাজ না হলে একই ড্রাইভার ট্যাব থেকেই আনইনস্টল সিলেক্ট করে আবার নতুন করে আগের ড্রাইভার ইন্সটল করুন। কাজ হয়ে যাবে।
আর আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি ডিভাইসটি ঠিকমতো কাজ করতে থাকে তাহলে একমাত্র গ্রাফিক্স কার্ড বাদে কোনোটাই ড্রাইভার আপডেট করা থেকে বিরত থাকবেন। অনাকাঙ্খিত ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন এতে।

অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল না হলে
খুব, খুব, খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা এটি।এক্সপিতে বেশি দেখা যায় এই সমস্যা। সি ড্রাইভ ফরম্যাট দিয়ে এক্সপি ইন্সটল করতে বসেছেন কিন্তু সেটি সেটআপ হচ্ছে না। কেমনটা লাগে তখন বলুনতো? মাঝনদীতে দাঁড়বিহীন নৌকার মাঝির মতো মনে হয় তখন নিজেকে। কেননা কোনো অপারেটিং সিস্টেম বিহীন হার্ডডিস্ক যেমন চালাতে পারবেন না তেমনি এই মুহূর্তে সেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যাটাই তো ইন্সটল হতে চাচ্ছে না। কি করতে পারেন তখন। আসুন একবার দেখে নিই।
**   যদি সিডি থেকে ফাইল কপি হতে গিয়েই আটকে যায় তাহলে বুঝতে হবে সিডি/ডিভিডি রম ড্রাইভ বা সিডিতেই সমস্যা। সিডিরমটি ক্লিন করে নিন অথবা অন্য ভালো সিডি দিয়ে চেষ্টা করুন।
**   যদি সিডি কপি হবার পর রিস্টার্ট এবং ইন্সটল হতে গিয়ে আটকে যায় তাহলে এটি সিডির ফাইল কপিতে সমস্যার কারণেও হতে পারে। আবার শুরু থেকে শুরু করুন। আবারও আটকেছে? তাহলে বুঝতে হবে হার্ডওয়্যারগত সমস্যা এটি সম্ভবত র‌্যামের। র‌্যামের স্লট পরিবর্তন করে দেখুন। একাধিক বাসস্পিডের র‌্যাম লাগানো থাকলে একই স্পিডবিশিষ্টটি রেখে বাকিগুলো খুলে ফেলুন। এক্ষেত্রে নতুন সেটআপ করার সময় সিডি থেকে বুট করে ফাইল কপি করতে হবে না। আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধু বসে থেকে পিসিকে নিজের মতো চলতে দিন। আগেরবার কপি করা ফাইল দিয়েই কাজ চলবে।
**   এছাড়া যদি ইন্সটলেশনের সময় এরর ব্লুস্ক্রিন আসে তাহলেও বুঝতে হবে এটি র‌্যামের সমস্যা। উপরের পদ্ধতিগুলোই অনুসরণ করুন।
**    আরও যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তা হচ্ছে হার্ডডিস্ক-এর যে ড্রাইভে সেটআপ করবেন সেটি এনটিএফএস কিনা এবং পর্যাপ্ত জায়গা সেখানে আছে কিনা।
**  এছাড়া  অনেক ব্র্যান্ড পিসি এক্সপি বর্তমানে সেটআপ নিতে চায়না।খানে আপনার কিছু করার নেই।নির্মাতা থেকেই এটি করে দেয়া হয়েছে।

পিসি বারবার রিস্টার্ট হলে
অনেক সময়ই এই সমস্যা দেখা যায়। কাজের সময় যখন তখন পিসি রিস্টার্ট হচ্ছে। অথবা, উইন্ডোজ লোড হয়েই আবার রিস্টার্ট করছে। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আসুন দেখে নিই কারণগুলো-
**    সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের কারণে এমনটি হয়। তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে পিসি স্ক্যান করুন। তাতেও কাজ না হলে উইন্ডোজ ইন্সটল ছাড়া গতি নেই।
**   ইন্টারনেট অপরিচিত মেইল, এটাচমেন্ট, মেসেজ ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এভাবেই ভাইরাস বেশি ছড়ায়।
**    র‌্যামের সমস্যা বা ভিন্ন ভিন্ন বাসস্পিডের র‌্যাম থাকলে এমনটি হতে পারে। একই বাস স্পিডের র‌্যাম সবসময় ব্যবহার করবেন।
**    মাঝে মাঝে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটলেশনের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই মনে করুন এই সমস্যা করার আগে কোন কাজটি করেছিলেন। মনে থাকলে সেটি রিমুভ করে ফেলুন।
**    পিসিতে নতুন সংযুক্ত কোনো হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্টের কারণেও এটি হতে পারে। এমতাবস্থায় হার্ডওয়্যারটি খুলে ড্রাইভার আনইন্সটল করুন।
**    সিপিইউর যন্ত্রাংশে ধুলাবালি জমেও এমনি হতে পারে। তাই নিয়মিত কম্পিউটার পরিষ্কার রাখুন ও যতটা সম্ভব শুষ্ক ঠান্ডা স্থানে রাখুন।
**  বায়োসে সিপিইউ ফ্যানের প্রোফাইলে সমস্যার কারনেও এটা হতে পারে।হয়তো আপনার ফ্যান প্রোফাইল সাইলেন্ট করে রাখা,একারনে দরকারি হেভীওয়েট কাজের সময় সিপিইউ পর্যাপ্ত তাপ নির্গমন করতে না পেরে পিসি রিস্টার্ট নেয়।এক্ষেত্রে বায়োসে গিয়ে ফ্যান প্রোফাইল ইন্টিলিজেন্ট বা টার্বো করে দিন।
**   আর ভোল্টেজ উঠানামার কথা নাহয় নতুন করে আর নাইবা বললাম।

কম্পিউটার হার্ডডিস্ক না পেলে কী করা উচিত
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের এ ধরনের সমস্যায় প্রায়ই  পড়তে হয়। বিভিন্ন কারণে কম্পিউটারে পাওয়ার দেওয়ার পর হার্ডডিস্ককে কম্পিউটার ডিটেক্ট করতে পারে না।সমস্যার সম্ভাব্য কারণসমূহ এবং এমতাবস্থায় কি করবেন এবারে তা বলছি:
১. ভালোভাবে লক্ষ্য করুন হার্ডডিস্কের সাথে কেসিংয়ের পাওয়ার সাপ্লাই থেকে আসা পাওয়ার কর্ডটি ঠিকমতো সংযুক্ত আছে কি-না।
২. হার্ডডিস্কটির সাথে মাদারবোর্ডের আইডিই বাস ক্যাবল অথবা সাটা ক্যাবল দ্বারা সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কি-না।
৩. হার্ড ডিস্কের জাম্পার সেটিং ঠিক আছে কিনা ? এক্ষেত্রে হার্ডডিস্কের জাম্পার দুইভাবে সেট করা যায় একটি মাস্টার সেটিং অন্য স্লেভ সেটিং। এক্ষেত্রে আপনাকে মাস্টার সিলেক্ট করতে হবে।
252 পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ৭: কম্পিউটার হার্ডডিস্ক না পেলে কি করবেন | Techtunes
৪. হার্ড ডিস্কটি মাদারবোর্ডের সাথে প্রাইমারি না সেকেন্ডারি হিসেবে সংযুক্ত নিশ্চিত হোন।
৩ ও ৪ নং কনফিগারেশরনের জন্য যদি একই সেটিংসে একাধিক IDE Device থাকে তবে তা (CD/DVD ROM,HDD) পাওয়া নাও যেতে পারে- যেমন দেখা গেল যে একটি HDD ও একটি DVD ROM উভয়েই Secondary master হিসেবে কনফিগার করা। এক্ষেত্রে দুটি Device-এর কোনো একটি নাও পাওয়া যেতে পারে।
৫. BIOS-এ IDE অটো ডিটেক্ট অপশনটি ডিজেবল থাকলে তা ৪টি IDE ডিভাইসের জন্য এনাবল করতে হবে নতুবা ম্যানুয়ালি HDD কে ডিটেক্ট করিয়ে দিতে হবে।

পিসির কনফিগারেশন
কম্পিউটারের যে কোনো সমস্যা আর হার্ডওয়্যারের সমস্যাতো তো বটেই সবার আগে আপনার প্রয়োজন পড়বে পিসির কনফিগারেশন অর্থাৎ প্রসেসর, র‌্যাম, মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, সাউন্ড কার্ড, এজিপি কার্ড কোনটি কোন কোম্পানির কি মানের তা জানার। দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষই অন্য কারো সহায়তা বা দোকানির পরামর্শে কম্পিউটার কেনেন এবং পরে যখন কোনো সমস্যায় পড়ে অন্য কারো দারস্থ হন তখন আর কনফিগারেশন বলতে পারেন না। এতে সমাধানকারীকে অতিরিক্ত ঝামেলায় পড়তে হয়। এই তথ্যগুলো তাই জেনে নিয়ে দরকার পড়লে লিখে রাখুন। তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাধানকারীর জন্য সমস্যার কারণ খুঁজে পাওয়াটা সহজ হয়ে যায়।
এই বেসিক কনফিগারেশনগুলো জানতে বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে জেনারেল ট্যাব থেকে জেনে নিতে পারবেন প্রসেসর, র‌্যাম ও অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য। গ্রাফিক্স বা ডিসপ্লে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে ইনফরমেশন থেকে জানতে পারবেন গ্রাফিক্সকার্ড সংক্রান্ত তথ্য। আর অনেকক্ষেত্রেই কম্পিউটার কেনার ক্যাশমেমোতেই এসব বিস্তারিত লিখা থাকে। আরেকটি কাজ করতে পারেন। কোনো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর সহায়তায় জেনে নিতে পারেন তথ্যগুলো। যেভাবেই যাই জানুন না কেন তা ভালোভাবে লিখে যত্নসহকারে রেখে দিন।

বিল্ট ইন
এখন প্রায় সব কম্পিউটারেই বিল্টইন কিছু না কিছু থাকেই। যেমন- এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ল্যান কার্ড ইত্যাদি। বিল্টইন অর্থ এই হার্ডওয়্যারটি আপনার মাদারবোর্ডে দেয়াই আছে। আপনি আলাদা না কিনে এটি দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। কিন্তু কথায় আছে সস্তার দশ অবস্থা। কোম্পানি বা দোকানি যতই গলা ফটাক না কেন এটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধিমান হবার দরকার পড়ে না যে, পারফরমেন্সে বিল্টইন হার্ডওয়্যারটি কখনই স্বতন্ত্র হার্ডওয়্যারের সমকক্ষ হতে পারে না। তবে যারা সাধারণ বা মাঝারি মানের ব্যবহারকারী তাদের জন্য বিল্টইন সাউন্ড বা এজিপি কার্ডই যথেষ্ঠ। আর বিল্টইন ল্যান কার্ড দিয়ে সমস্যা ছাড়াই কাজ চালাতে পারেন। তবে একটা কথা। যারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন নেন তাদের সবার ল্যান কার্ডের ফিজিকাল বা ম্যাক এড্রেস কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইএসপি নিয়ে রেকর্ড করে রাখে।ফলে মাদারবোর্ডে কোনো সমস্যা হলে নেট লাইন নিয়ে বিপদে পড়বেন আপনি। এক্ষেত্রে আইএসপি’র শরণাপন্ন আপনাকে হতেই হবে। আর আলাদা ল্যানে যে বাড়তি সুবিধা একই কারণে পাবেন তা হচ্ছে এটি অন্য পিসিতে লাগিয়ে একই নেট কানেকশন কাজের সময় ব্যবহার করতে পারবেন আপনি।ম্যাক এড্রেস পরিবর্তনের উ্পায় অবশ্য আছে কিন্তু এই টিউনে তা আমার আলোচ্য না।
techtoday4u.blogspot পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ৮:জেনে রাখা ভাল | Techtunes
আর বিল্টইন সাউন্ড কার্ড বা এজিপিতে সমস্যা হলে তা বেশ বিড়ম্বনাকর। অনেকক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের উপরই চাপটা পড়ে বেশ জটিলাকার ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন, বিল্টইন এজিপি মানেই এটি আপনার সিস্টেম থেকে র‌্যাম শেয়ার করে। তাই বিল্টইন এজিপি ব্যবহার করলে বাড়তি র‌্যাম লাগানোটাই ভালো। নাহলে সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করাসহ অনেক সমস্যাই হতে পারে আপনার।একটা সহজ পয়েন্ট উল্লেখ করি।ক্রিয়েটিভের ভালোমানের সাউন্ড কার্ডের দাম ৪০০০ টাকার উপরে,এনভিডিয়ার ৯৬০০ জিটি ১ গিগাবাইট র‌্যামবিশিষ্ট এজিপির দাম ১৫০০০ টাকা।আর সুপার-ডুপার সাউন্ড(!),১৭৫৮ মেগাবাইট পর্যন্ত এজিপি বিশিষ্ট মাদারবোর্ড আপনি ৭০০০ টাকাতেই পাবেন!!আর কিছু বলতে হবে?

পাওয়ার এবং পাওয়ার সাপ্লাই
কম্পিউটারের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অংশ এই পাওয়ার সাপ্লাই। এর কারণে অনেক সমস্যাই হতে পারে। ইউপিএস কেন ব্যবহার করবেন, কেন করবেন না এই নিয়ে বেশি কিছু বলব না। শুধু বলব অস্থিতিশীল ভোল্টেজ সাপ্লাই আপনার মূল্যবান হার্ডওয়্যারের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আর্থিং। ভালো আর্থিং কম্পিউটারের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। কোনো ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে আপনার আর্থিং ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নিতে পারে। আর্থিং না থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। মনিটর কাঁপতে পারে, কেসিং-এর বডি শক করতে পারে; এমনকি মাদারবোর্ড বা হার্ডডিস্কের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
আরেকটি সমস্যা অনেকসময় দেখা যায়। কম্পিউটারের উপর যখন বেশি চাপ পড়ে। হাইএন্ড গেম বা এপ্লিকেশন রান করতে যায় তখন পিসি রিস্টার্ট করে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই। অর্থাৎ কাজের সময় আপনার পাওয়ার সাপ্লাই মাদারবোর্ডে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাইটি পরিবর্তন করতে হবে।
70 পিসি ট্রাবলশ্যুটিং পর্ব ৮:জেনে রাখা ভাল | Techtunes
জানেন কি কম্পিউটারের ভেতরের যাবতীয় হার্ডওয়্যার চলে ডিসি পাওয়ারে? এসি ২২০ ভোল্ট পাওয়ারকে পাওয়ার সাপ্লাই ডিসি ৩.৫ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট ও ১২ ভোল্টে রূপান্তর করে মাদারবোর্ডে সরবরাহ করে। ফলে সিপিইউর ভেতর যে কারেন্ট থাকে তা বিপদজনক নয়। তবে যদি পাওয়ার অন করে কখনও কাজ করতে হয় তখন খেয়াল রাখবেন যেন শর্টসার্কিট না হয় এবং আপনার পায়ে যেন শুকনা জুতা থাকে।

পিসির যত্ন
শুধুমাত্র মাত্র টেকনিক্যাল কারণ বা সমস্যাতেই যে পিসি নষ্ট হয় বা সমস্যা হয় ব্যাপারটা কিন্তু এমন না।আমাদের ব্যবহার পদ্ধতি,রক্ষনাবেক্ষনের উপরো এসব কিছু অনেকাংশে নির্ভরশীল।আপনার একটু সতর্কতাই পারে আপনার পিসিকে দীর্ঘায়ু দিতে।আসুন আজ আপনাদের বলব তেমনি কিছু সচেতনতার কথা যেগুলা মাথায় রেখে কাজ করলে অনেক অনাকাংখিত ঝামেলা থেকেই মুক্তি পাবেন আপনি।

ভোল্টেজের ওঠানামা
পাওয়ার সকেট ঠিকমতো ভু-সংযুক্ত(আর্থিং) থাকতে হবে। আজকাল যদিও অধিকাংশ ব্যবহারকারী ভূ-সংযোগ ছাড়াই পিসি চালান তবে পিসির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় ভূ-সংযোগ থাকা ভালো। একটি সকেটের উপর মাল্টিপল না চাপিয়ে পাওয়ার স্টিপ ব্যবহার করুন। হিটার, এসি, ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিনের সাথে যুক্ত পাওয়ার লাইন বাদ দিয়ে পিসির জন্য আলাদা একটি পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করুন। লোডশেডিং-এর ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে ইউপিএস ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা ব্যবহারের আগে ঠিকমতো কাজ করছে কি-না পরখ করে নিবেন। এবং পিসির সবক’টি পেরিফিরিয়ালের লোড নিতে সক্ষম কি-না তা-ও যাচাই করে দেখুন।অযথা প্রিন্টার বা স্ক্যানার ইউপিএস এর সাথে লাগাবেন না।

তাপমাত্রার তারতম্য
তাপমাত্রার পরিবর্তনের প্রতি কম্পিউটার বেশ সংবেদনশীল। ঠাণ্ডা আবহাওয়াই পিসির পক্ষে অনুকূল। তবে খুব শীতল আবহাওয়া নয়। আপনি যদি এটি সরিয়ে নিয়ে এমন কক্ষে রাখেন যেখানে তাপমাত্রা ভিন্ন রকমের তবে সেটা সাথে সাথে চালু না করে কিছুটা সময় নিয়ে করবেন। নতুন আবহাওয়ার সাথে কম্পিউটারকে আগে পরিচিত হতে দেন। 

তাপ, ধুলোবালি এবং আর্দ্রতা
বর্তমানের উন্নত ও দ্রুতগতির কম্পিউটারগুলি ব্যবহার করা উচিত সাবধানতার সাথে। সরাসরি সূর্যের আলো লাগে এরকম জায়গায় একে রাখবেন না। এমন জায়গায় না যেখানে তাপমাত্রা খুব দ্রুত বদল হয় যেমন এসি, এয়ারকুলার বা হিটার এদের কাছাকাছি স্থান। এসি করা ঘরে যদি কম্পিউটার রাখেন তাহলে লক্ষ রাখতে হবে যেন এসির বাতাসের সরাসরি প্রবাহ তাতে না লাগে। প্রচুর জলীয় বাস্পযুক্ত বাতাস পিসির বিভিন্ন অংশগুলি ড্যাম্প করে দিতে পারে। কিছুটা ঠাণ্ডা, শুকনো এবং ধুলোমুক্ত পরিবেশ কম্পিউটার রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় এদেশে কম্পিউটার ব্যবহারে সাবধানী হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। উষ্ণতা এর অন্যতম শত্রু। কম্পিউটারের কক্ষটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা বাঞ্চনীয়। ফ্যানযুক্ত সিপিইউ কেবিনেট ব্যবহার করুন।

পিসির কভার
লক্ষ রাখবেন আপনার পিসির কভার যেন যথাযথ অবস্থায় থাকে। ড্রাইভ অথবা স্লট দিয়ে যেন বাইরের ধুলোবালি, পোকামাকড় না ঢোকে। পিসি চালানোর সময় কোনো কিছু ঢেকে ভেন্টিলেশন ছিদ্র বন্ধ করবেন না। তাহলে ব্যবহারের সময় অত্যধিক উষ্ণ হয়ে যাবে সেটা। তবে ব্যবহারের পর পিসি ঠাণ্ডা হওয়ার পরে তা কাপড় অথবা কোনো আবরণী দিয়ে ভালো করে ঢেকে রাখবেন। শীতের দিনে ইঁদুর, টিকটিকি আশ্রয় নিতে পারে কম্পিউটারের ভেতরে। তাছাড়া এর মধ্যে মাকড়সাও জাল বুনতে পারে। সেজন্য মাঝে মধ্যে কেস খুলে দেখতে পারেন তা পরিষ্কার আছে কিনা

পিসির গতিবৃদ্ধি
কোনো কোনো সময় মেশিন পূর্বের তুলনায় ধীর সময়ে কাজ করতে পারে। এতে বিচলিত না হয়ে কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় বাহুল্যজনিত কারণে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় যে সকল প্রোগ্রাম রয়েছে সেগুলোর কারণে সিস্টেম স্লো হতে পারে। পিসি বুটিংয়ে যদি অনেকগুলো ইউটিলিটি ওপেন করে রাখা হয় সেক্ষেত্রে এই সময় বাড়তে পারে। কোনো কোনো সময় হার্ডডিস্কের জায়গা কমে আসার জন্যও এই সময় লাগতে পারে। 

স্ক্যানডিস্ক করা
প্রতি সপ্তাহে একবার অন্ততপক্ষে স্ট্যান্ডার্ড স্ক্যান ডিস্কটি চালান আপনার কম্পিউটারের ওপরে। স্ক্যানডিস্ক টুলসটি পাবেন স্টার্ট মেন্যুর প্রোগ্রাম>এক্সেসরিজ>সিস্টেম টুলসের ভেতরে।এটি চালালে দুটি অপশন পাবেন স্ট্যান্ডার্ড এবং থ্রু স্ক্যানের অপশন। ডিস্কের যে কোনো ধরনের সমস্যা, ডাটা করাপশনের সম্ভাবনা থাকলে তা সারাতে স্ক্যান ডিস্ক টুলটি ব্যবহার করতে হয়। আর থ্রু স্ক্যানডিস্কটি চালান প্রতি মাসে অন্তত একবার। আর আমাদের দেশে কারেন্ট খুব বেশি যাওয়া আসা করে। সেক্ষেত্রে যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো এপ্লিকেশন চালাতে থাকা অবস্থায় কারেন্ট চলে যায় তবে পরবর্তীতে কম্পিউটার চালানোর পরে অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড স্ক্যানডিস্ক করুন। এজন্য প্রয়োজনে স্ক্যানডিস্কের একটি শর্টকার্ট তৈরি করে রাখতে পারেন ডেস্কটপে।

নিয়মিত ডিফ্র্যাগমেন্ট করা
ডিফ্র্যাগ টুলটির সাথেও আপনার নিয়মিত পরিচয় থাকা ভালো। এটি হার্ডডিস্কের এফিসিয়েন্সি বাড়িয়ে দেয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফাইলগুলোকে এক সাথে এনে। প্রোগ্রাম দ্রুত চালাতে চাইলে মাঝে মধ্যেই ডিফ্র্যাগ করা প্রয়োজন। কত নিয়মিত ডিফ্র্যাগ করা উচিত ? নির্ভর করে কত দ্রুত আপনি সফটওয়্যার ইন্সটল ও আনইন্সটল করেন তার ওপরে। যদি আপনার মাঝে মধ্যেই হার্ডডিস্কে প্রচুর পরিমাণে ডাটা পরিবর্তন হয়ে থাকে তবে দু সপ্তাহে একবার ডিফ্র্যাগ করতে পারেন।নতুবা মাসে একবার করলেই হবে। 

খুব বেশি সফটঅয়্যার ইন্সটল না করা
আমাদের অনেকেরই এই অভ্যাস আছে যে যে কেউ যেকোন সফটওয়ারের কথা বললেই আমরা নিজের পিসিতে ইন্সতল করে ফেলি।এটা আদৌ আমাদের কোন কাজে আসবে কিনা তা ভেবে দেখি না।সেই যে ইন্সটল করে একবার চালিয়ে দেখা সেটাই কিন্তু শেষ।জীবনেও দেখা যায় ঐ প্রোগ্রাম আর খুলে দেখা হয় না।আর এভাবেই আমরা আমাদের উইন্ডোজকে আরো স্লো হতে যথেষ্ঠ সাহাজ্য করি।দয়া করে এই কাজটি থেকে বিরত থাকবেন।প্রোগ্রাম যতটা সম্ভব কম ইন্সত্যল করবেন।কেননা পরে আনইন্সটল করলেও দেখা যায় এর কিছু না কিছু ভ্যালু রেজিস্ট্রিতে রয়ে যায়।তাই এই কাজ থেকে বিরত থাকুন।

যে-সব কাজ কখনো করা উচিত নয়
** চলন্ত অবস্থায় সিপিইউতে ঝাঁকুনি দেবেন না। এতে বিদ্যুতিক শক লাগতে পারে কিংবা হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য কম্পোনেন্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
** ঢাকনাবিহীন স্পিকার- সিভিটি অথবা ইউপিএস মনিটরের কাছাকাছি আনবেন না। বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বাধার সৃষ্টি হতে পারে।
** পিসি চালু রেখে কিছু পান করবেন না বা ধুমপান করবেন না। কারণ তরল কী-বোর্ডে পড়ে যেতে পারে অথবা ধোঁয়ার ক্ষুদ্র কণিকা ঢুকে পড়তে পারে কম্পিউটারে। 

শেষ কথা
ট্রাবলশুটিং নিয়ে এতোক্ষণ অনেক কথাই হলো। আশাকরি এর কোনো না কোনোটি আপনার দৈনন্দিন কম্পিউটার সমস্যায় কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। তবে বড় কথা হচ্ছে কম্পিউটারে প্রতিদিনই নিত্যনতুন বিচিত্র সব সমস্যা দেখা দেয়। তার অনেকগুলোই মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার। আবার অনেকগুলোর কোনো সমাধান নেই। যেমন কম্পিউটার মাঝে মাঝে চালু হয় না। ডিকশনারীর এ টু জেড সবকিছুই চেষ্টা করে ব্যর্থ আপনি। কিন্তু দেখলেন পরদিন আপনার চোখকে কপালে তুলে দিয়ে দিব্যি কম্পিউটার চালু হয়ে গেছে। একটা কথাই বলবো, কম্পিউটারের সব সমস্যার কারণ খুঁজতে যাবেন না। তা হবে বোকামি। অনেকক্ষেত্রেই যন্ত্রটি খামখেয়ালি। মনে রাখবেন কথাটি।

কোন মন্তব্য নেই: