মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০১০

মাদার বোর্ডের ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত জটিলতা, অতঃপর সময় ক্ষেপণের গল্প

গত বছর জুনের শেষ দিকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে আমার ক্লোন পিসিটা কেনা হয়েছিল কক্সবাজার শহরের বিলকিস শপিং কমপ্লেক্সস্থ দুই দোকান থেকে। সিপিইউটা এক দোকান থেকে এবং মনিটর আর মডেমটা অন্য দোকান থেকে। ডেস্কটপটির বিভিন্ন অংশের ওয়ারেন্টি ছিল এ রকম : প্রসেসর, মাদার বোর্ড ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভের তিন বছর করে আর মনিটর, ডিভিডি রাইটার ও র‍্যামের এক বছর করে।
কেনার পর থেকে পিসিটা ঠিকমতো চলছিল। কিন্তু গত মার্চের মাঝামাঝি হঠাৎ বিগড়ে গেল পিসিটা। আমি সংশ্লিষ্ট দোকানের টেকনিশিয়ান (আমার প্রাক্তন ছাত্রীর ছোট ভাই)-কে দেখালাম। সব দেখে সে জানাল মূল সমস্যা মাদার বোর্ডের। তারা মাদার বোর্ডটি খুলে নিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিল গত ২৪ মার্চ এবং আমাকে জানাল সর্বোচ্চ পনেরো দিনের মধ্যে আমি মেরামত করা একই মাদার বোর্ড কিংবা বিকল্প নতুন মাদার বোর্ড পেয়ে যাব। কিন্তু দেড় মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আমি আমার পুরনো কিংবা নতুন মাদার বোর্ড কোনোটাই ফেরত পাইনি। এই দেড় মাস আমার লেখালেখি পুরোপুরি বন্ধই ছিল। এমন-কী 'রক্তের মলাটে একুশ' ই-বুক সংকলনের লেখাগুলোও যথাযথ সম্পাদনা করে পাঠাতে পারিনি।
মাদার বোর্ডটি ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে বারবার ধরনা দেওয়ার পর তারা আমাকে জানাল যে, ওই মাদার বোর্ডটি যে ডিলারের কাছ থেকে তারা কিনেছে সেই ডিলার সংশ্লিষ্ট ইম্পোর্টার ('কম্পিউটার সোর্স')-এর পাওনা পরিশোধ না করায় ইম্পোর্টার ওয়ারেন্টির শর্ত পালন করছে না। ফলে আমি পড়ে গেলাম গ্যাঁড়াকলে। স্থানীয় 'নিটা কম্পিউটার অ্যান্ড টেকনোলজি' থেকে পিসিটা কিনলে ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত এমন জটিলতায় পড়তে হত না। কারণ, 'নিটা কম্পিউটার অ্যান্ড টেকনোলজি' ইম্পোর্টার 'কম্পিউটার সোর্স'-এর কক্সবাজারস্থ একমাত্র ডিলার (এটা কিন্তু তখন আমার জানা ছিল না)। আর যাদের কাছ থেকে আমি পিসিটা কিনেছিলাম তারা হল স্রেফ বিক্রেতা।
শেষ পর্যন্ত ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে নগদ ৪ হাজার ৫৫০ টাকা দিয়ে ইন্টেলের ৪১ আরকিউ মাদার বোর্ডটি কিনলাম গত ১০ মে। সেটা দিয়েই এখন কাজ চালাচ্ছি। আচ্ছা, সংশ্লিষ্ট বিক্রতার কাছ থেকে আমি সেলস রিটার্ন অর্থাৎ ওয়ারেন্টির তিন বছর থেকে ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত সময় বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সময়ের টাকা (তখন ইন্টেলের ওই ৩১ পিআর মাদার বোর্ডটির দাম ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৫০ টাকা) ফেরত পাওয়ার দাবি করতে পারি কি না?

কোন মন্তব্য নেই: