মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০১০

একটি সংবাদ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

ক্সবাজার থেকে প্রকাশিত একটি প্রিন্ট মিডিয়ায় গত ২২ মে সংবাদটি প্রথম ছাপা হয়। এর পর কক্সবাজার থেকে পরিচালিত একমাত্র ওয়েব পত্রিকায় সেদিনই সংবাদটি হুবহু প্রকাশ করা হয় ওই প্রিন্ট মিডিয়ার সূত্রে। সংবাদটির সার কথা হল এই, কক্সবাজার শহরের বিশেষ-বিশেষ মহল্লায় বসবাসরত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কতিপয় ছাত্রী (বোরকা পরা) হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেহব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা গেস্ট হাউজ খ্যাত আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তথাকথিত সার্ভিস দিয়ে থাকে।
বিস্তারিত সংবাদ এখানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্রী (যাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলায়) আলোচ্য সংবাদটির অত্যন্ত তির্যক ও তীক্ষ্ণ ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যা সংশ্লিষ্ট ওয়েব পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত হয়। তাঁর মতে, উপযুক্ত তথ্য ও নির্ভরশীল সূত্রবিহীন ওই সংবাদটির কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সাধারণ ছাত্রীরা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে ওই প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ওয়েব পত্রিকারটির পরিচালকের জীবিকা অর্থাৎ মূল পেশার (শিক্ষকতা) ব্যাপারে প্রশ্ন রেখেছেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া এখানে
এখন আমারও মনে হচ্ছে, ওই প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পরিচালকের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কন্যাসন্তান কিংবা নিকট-আত্মীয়া থাকলে সংবাদটি প্রকাশের আগে এর নেতিবাচক প্রভাব বা প্রতিক্রিয়ার কথা দ্বিতীয়বার ভাবতেন। তবে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা হিসাবে কক্সবাজার শহরে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ যে একদম হচ্ছে না, তাও-বা বলি কী করে?
প্রতিক্রিয়ার জবাবে ওই প্রিন্ট মিডিয়ার জবাবটি পড়ুন এখানে

কোন মন্তব্য নেই: