সোমবার, জানুয়ারী ০৪, ২০১০

প্রসঙ্গ : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ

ক্সবাজারবাসীর দাবির মুখে ২০০৮ সালে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় সদর হাসপাতাল সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয়ে। এখানে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আবাসিক সুবিধা না থাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার হাসপাতালের ডাক্তারদের দিয়ে দায়সারাভাবে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে সঠিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সরকার কলেজের জন্য শহরতলীর পাওয়ার হাউজের উত্তর পাশে ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে অনেক আগে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানোর পরও সেখানে আটকে রাখা হচ্ছে। এদিকে আগামী জুনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে এর জন্য বরাদ্দকৃত এডিবি'র ২৭ কোটি টাকা ফেরত চলে যাবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ৫৪ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। এমতাবস্থায় এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত অবস্থায় নিপতিত হয়েছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি'র পক্ষ থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তা না হলে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই: