শুক্রবার, নভেম্বর ২০, ২০০৯

হাইকোর্টের রায় বহাল, ফাঁসি ১২ জনেরই

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী পাঁচ আসামির আপীল নাকচ করে দিয়েছে আপীল বিভাগ। এর ফলে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃতু্যদণ্ড বহাল রেখেছে আদালত। আপীল বিভাগ যে পাঁচ আসামির আবেদন নাকচ করেছে তারা হলো, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), লে. কর্নেল (অব) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে বাঙালী জাতি পেল এই ঐতিহাসিক রায়ের ঘোষণা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা। আপীল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষ আইনজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনে ভর্তি। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। শুধু অপেক্ষার পালা। আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে। ঘড়ির কাঁটা ১১টা থেকে সরে আস্তে আস্তে ১১টা ৪৫ মিনেটে এসেছে। তখনই বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আব্দুল আজিজ, বিচারপতি বিজন কুমার দাস (বিকে দাস), বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) বিচারকক্ষে এসে নিজ নিজ আসনে বসেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের আপীল বিভাগের বেঞ্চ প্রধান মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম গুরুগম্ভীরভাবে রায় ঘোষণা শুরু করেন। উদ্বেগ ও নীরবতার অবসান ঘটিয়ে বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম ঘোষণা করলেন পাঁচ আসামির আপীল না মঞ্জুর করা হলো। এর ফলে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃতু্যদণ্ড বহাল থাকল। এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে অবসান হলো বাঙালী জাতির এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার। পেঁৗছল বাঙালী ইতিহাসের একটি যুগের দ্বারপ্রান্তে। মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি কারাগারে আটক রয়েছে। অন্যদিকে ৬ আসামি পলাতক রয়েছে। এরা হলো লে. কর্নেল (অব) খোন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব) এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব) এন এইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। লে. কর্নেল (অব) আব্দুল আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুইয়েতে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে বিচারপতিরা এজলাসে বসেন, বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম ১১টা ৪৬ মিনিটে রায় পড়া শুরু করে ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ করেন। রায়ে বলা হয় "আমাদের অভিমত হলো হাইকোর্টের তৃতীয় বিচারপতি ছয় আসামির বিষয়ে নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করে কোন ভুল করেননি। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগ মামলা দায়েরের বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। ব্যাখ্যা গ্রহণ করে আদালত কোন ভুল করেননি।" রায়ে আরও বলা হয় "আসামিরা ঘটনার সময় একটিভ সার্ভিসে ছিলেন না। তাই সেনা আইনে বিচার না করে সাধারণ আইনে বিচার করায় আইনী কোন ভুল ছিল না।" বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছিল বিদ্রোহের জন্য। রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এসব কারণে আসামিদের আপীল খারিজ করা হল।
আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় ঘোষণার পর সরকার পক্ষের প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতি ন্যায়বিচার পেয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, হাইকোর্টে পুরো রায় বহাল রয়েছে। পলাতক ৭ জনের কেউ ফিরে এলে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করতে পারবে। পরে সরকার ও আসামি পক্ষ সাংবাদিকদের ব্রিফিং প্রদান করেন। সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। বিচারকক্ষে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সকাল ১০টার সময় ঢুকতে দেয়া হয়। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এসেছিলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কেঁৗসুলি এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এএফএম মেজবাহউদ্দিন, আজমালুর হোসেন কিউসি, তৌফিক নেওয়াজ, শ ম রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী, রবিউল আলম বুদু, তাজউদ্দিন মেহেদী, নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মোশারফ হোসেন কাজল, তৌফিক করীম, ইমতিয়াজ উদ্দিন আসিফ, এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আব্দুল মতিন খসরু, বাদী আ ফ ম মহিতুল ইসলাম ও আইও আব্দুল কাহার আকন্দ।
অন্যদিকে এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম, অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক, ডিএজি এএস মো. আব্দুল মোবিন, ডিএজি মো. মোতাহার হোসেন সাজু, এএজি মাহফুজা বেগম, এএজি মো. একরামুল হক, এএজি খোন্দকার দিলারুজ্জামান, এএজি ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, এএজি সর্দার মো. রাসেদ জাহাঙ্গীর ও এএজি এবিএম আলতাফ হোসেন। আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুর রেজ্জাক খান ও ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বহু প্রতীক্ষিত এ রায় শোনার জন্য গোটা জাতি ছিল উন্মুখ। শত শত আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। লাখ লাখ জনতা টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার শোনেন। সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণার পরই আদালত প্রাঙ্গণে মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করার পক্ষে স্লোগান দেয়া হয়। এরপর আইনজীবী সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিং প্রদান করেন সরকার ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। নিম্নে তা তুলে ধরা হল:

এ্যাটর্নি জেনারেল
এ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯ নবেম্বর বাঙালী জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই ঐতিহাসিক দিনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় ঘোষণা হলো। এটি মানব ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ রায় হিসেবে পরিচিত হবে। মামলায় আসামিদের সমস্ত স্বচ্ছতা দেয়া হয়েছে। মামলা যাতে না করা হয়, সে কারণে মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি বিল জারি করেছিল। জিয়াউর রহমান, এরশাদ সরকার ইনডেমনিটি বহাল রেখেছিলেন। '৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসলে ঐ কালো অধ্যায় বাতিল হতো না। এই রায়ের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়েরের জন্য বাদী মহিতুল ইসলামকে তাঁর সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই মামলা বিলম্বিত করার জন্য আসামি পক্ষ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। প্রথমে তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে আদালতকে চ্যালেঞ্জ করে। এতে তারা আদালতে হেরে যায়। আপীল বিভাগেও তারা হেরে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাহবুবে আলম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সেশন আদালতে ১৫০ দিন, হাইকোর্টে ৬৩ দিন, তৃতীয় বেঞ্চে ২৫ দিন শুনানি হয়েছে। এতে ১২ জনের আদেশ বহাল থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ৪ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেশে ছিল। একজনকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, শেখ নাসের, শেখ মনি, আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে হত্যা করেছে। তাদের ফিরে পাব না। এই রায়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

আনিসুল হক
সরকারপক্ষের প্রধান কেঁৗশুলি আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা শেষ দরজায় এসে বিচার পেয়েছি। আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫টি বিবেচ্য বিষয় শুনানি করেছিল, তার রায় দিয়েছেন। অন্যান্য সময় যে রায় দেয়া হয়, তার ব্যতিক্রম ছিল এটি। আগে শুধু অর্ডার প্রসেসিং হতো। আজকে রায়ের বেশ কিছু অংশ পড়ে শোনানো হয়েছে। আদালত আসামিদের বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে। তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতি ৩৪ বছর অপেক্ষার পর বিচার পেয়েছে। এ রায়ের পর শুকরিয়া আদায় করছি। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের জন্য মাগফিরাত কামনা করছি। অনেক দিন পর জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে।

ফজলে নূর তাপস
বঙ্গবন্ধুর দৌহিদ্র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৪ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছিল স্বাধীনতা পাবার জন্য। আজকে লজ্জা লাগে ৩৪ বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য। আজ গর্ববোধ করি স্বাধীন দেশে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট মাইলফলক রায় দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করার জন্য সিরাজুল হককে স্মরণ করতেই হয়। তিনি বলেন, '৭৫ সালের ১৯ নবেম্বর মা-বাবা আমার জন্মদিন পালন করতে পারেনি। আজ আমার জন্মদিনে সুপ্রীমকোর্ট রায় দিয়ে সর্বোচ্চ উপহার দিয়েছে। মা-বাবার হত্যার বিচার পেয়েছি। এটি ঐতিহাসিক রায়।

আ. ফ. ম. মোহিতুল ইসলাম
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী আ. ফ. ম. মোহিতুল ইসলাম বলেছেন, আমরা প্রত্যাশিত রায় পেয়েছি। এই দিনটির জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। আমার ছোট ভাই রাসেল বলেছিল ওরা আমাকে মারবে না তো; আমি বলেছিলাম, না ওরা তোমাকে মারবে না। আমার সেই আশ্বাস ভুল ছিল। খুনীরা শিশু রাসেলকেও রক্ষা করেনি। '৭৬ সালে লালবাগ থানায় এজাহার করতে গেলে থানার এসআই আমার গালে থাপ্পড় মেরে বলে, তুইও মরবি, আমাদেরও মারবি। সময় আসাতে আমি '৯৬-তে মামলা করেছি। দীর্ঘদিন হলেও মামলার খুনীদের বিচার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৩৪ বছর পর আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হলো। রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলি আনিসুল হক ১৫ আগস্টে বাবা-মা হারানো বঙ্গবন্ধুর নাতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে জড়িয়ে কেঁদে ওঠেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে হানা দিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে রাসেলসহ ২৮ জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে। ১৯৯৮ সালের ৮ নবেম্বর বিচারিক আদালত ২০ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃতু্যদণ্ড প্রদান করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল ও মৃতু্যদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়। পরে তৃতীয় বেঞ্চ ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল ১২ জনের মৃতু্যদণ্ড অনুমোদন করে রায় দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে আটক পাঁচ আসামি আপীল করে। আপীল বিভাগের শুনানি শেষে, বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করা হয়। ঐ রায়ে পাঁচ আসামির আপীল নাকচ করে দেয়া হয়। ফলে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃতু্যদণ্ড এখন বহাল থাকল।

কোন মন্তব্য নেই: