সোমবার, নভেম্বর ৩০, ২০০৯

ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী লে. কর্নেল (অব.) ডালিমের কানাডা সফর

ঙ্গবন্ধুর খুনি লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম সম্প্রতি কানাডা থেকে ঘুরে গেছেন। তিনি বহন করছেন ব্রিটিশ পাসপোর্ট । এই পাসপোর্টের সুবাদেই ডালিম ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা দেশ। এ কারণেই যে-কোনো সময় যে-কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারছেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার পর ৪ নভেম্বর ডালিমসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একটি বিশেষ বিমানে রেঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাকিস্তান সরকারের দেওয়া একটি বিমানে তাঁদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ৮ জুন এই ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানকারী লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হননি। তাঁরা সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। এঁদের মধ্যে লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমকে চীন দূতাবাসে প্রথম সচিব, লে. কর্নেল আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনায় প্রথম সচিব, মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজেরিয়ায় প্রথম সচিব, মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব, লে. কর্নেল শাহরিয়ার রশিদকে ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সচিব, মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে দ্বিতীয় সচিব, মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে দ্বিতীয় সচিব, মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে দ্বিতীয় সচিব, কর্নেল কিসমত হাশেমকে আবুধাবিতে তৃতীয় সচিব, লে. খায়রুজ্জামানকে মিসরে তৃতীয় সচিব, লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডায় তৃতীয় সচিব এবং ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে সেনেগালে তৃতীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পোল্যান্ডে ডালিমকে একই পদে নিয়োগ দিলেও সেদেশের সরকার তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরবর্তীতে এরশাদ সরকার ডালিমকে বেইজিঙে নিয়োগ দিতে গিয়ে না পেরে পরে হংকঙে ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেন।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

কোন মন্তব্য নেই: